নিয়মিত কর্মসূচী 2023
১। পবিত্র আশুরা
২। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)
৩। পবিত্র শবে মে’রাজ
৪। পবিত্র শবে বরাত
৫। পবিত্র মাহে রমজানের তারাবি ও ইফতার মাহফিল
৬। পবিত্র শবে ক্বদর
৭। পবিত্র ঈদুল ফিতর
৮। পবিত্র ঈদুল আযহা
৯। সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিল
১০। আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রভৃতি।
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরার সম্মেলনে শায়েখুল আকবার : “ইমাম হোসাইন (রাঃ) শাহাদাত বরণ করে সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।”
আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর বলেছেন, কারবালায় ইমাম হোসাইন (রাঃ) শহাদাত বরণ করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল থাকার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আমরা যদি তাঁর এই শিক্ষা অনুসরণ করি, তবে সমাজের সমস্ত অন্যায় ও অপরাধ দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি গত ৯ই আগষ্ট, মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ১০ই মহররম উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তর মিরপুর দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত পবিত্র আশুরার সম্মেলনে সমবেত হাজার হাজার শান্তিপ্রিয় আশেকে রাসূল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক দিচ্ছিলেন।
ইমামুল আশেকীন বলেছেন, মহানবী হযরত রাসূল (সঃ)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ছিলেন ইমাম হোসাইন (রাঃ)। দূরাচারী এজিদ অবৈধভাবে ইসলামী খেলাফতে আসীন হওয়ার পর এই খেলাফতের বৈধ অধিকারী ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর সমর্থন আদায়ের জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের উপর অবিচল ইমাম হোসাইন (রাঃ) কোনভাবেই দূরাচারী এজিদকে মেনে নেননি। ফলে এজিদ ছলে বলে কৌশলে ইমাম হোসাইন (রাঃ)-কে স্বপরিবারের কারবালার মরু প্রান্তরে অবরুদ্ধ করে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করেছে।
শায়েখুল আকবার বলেন, প্রতি বছর ১০ই মহররম এসে প্রায় চৌদ্দশত বছর আগের কারবালার বর্বরোচিত ও নৃশংস ঘটনা স্মরণ করিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে শোকাহত করে তোলে। মহানবী হযরত রাসূল (সঃ)-এর অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষায় গড়ে উঠা চিরশান্তির ইসলামকে কলংকিত করার এই জঘন্যতম ঘটনা আশেকে রাসূলদের ব্যথিত করে।
আমাদের মনে রাখতে হবে- যুগে যুগে বহু এজিদের জন্ম হয়েছে ইসলাম ধর্মকে বিনষ্ট করে মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করার জন্য। বর্তমান যুগেও এজিদের মত মদ্যপ, চরিত্রহীন, খুনি ও জালেম আছে, যে মোহাম্মদী ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলে তৎপর। একজন সত্যিকার আশেকে রাসূলের দায়িত্ব হলো- এই নব্য এজিদকে প্রতিহত করে হযরত রাসূল (সঃ)-এর ইসলামকে রাহু মুক্ত করা।
তিনি বলেন, চিরশান্তির ধর্ম ইসলাম বিশ্বময় প্রচারের জন্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও রাহমাতাল্লিল আলামীন হযরত রাসূল (সঃ)-এর পক্ষ থেকে আমাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশেকে রাসূলেরা! আপনারা নিয়মিত ওয়াজিফা আমল করবেন এবং নিজ নিজ এলাকায় ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে এই মহা সত্য প্রচার করে অপমর মানুষকে আশেকে রাসূল হওয়ার দাওয়াত দিয়ে মিরপুর দরবার শরীফে নিয়ে আসবেন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, হামদে বারী তায়ালা, নাতে রাসূল ও শহীদে কারবালার শানে গজল পরিবেশন করে পবিত্র আশুরার সম্মেলন শুরু হয়। স্বাগত ভাষণ দেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)। তারপর ‘‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’’ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা মোঃ আব্দুল মালেক মোজাহেদী, মাওলানা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মোঃ আবু মুসা জালালী, মাওলানা মোঃ আল-আমীন রেজা, মাওলানা মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা মোঃ আবুল বাশার আশরাফী, মুফতি মাওলানা মোঃ বিল্লাল হোসেন রাব্বানী, হাফেজ মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসেন হেলালী, হাফেজ মাওলানা মোঃ গোলাম মাহদী প্রমূখ।
বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। অতঃপর যথাক্রমে বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) ও মহাসচিব বৃটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)। বেলা দেড়টায় অনুষ্ঠিত হয় যোহরের নামাজের বিশাল জামাত। এ সময় মিরপুর দরবার শরীফের সাততলা ভবন ও পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার আশেকে রাসূল নামাজ আদায় করেন।
এরপর আশেকে রাসূলদের নয়নমণি ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর সম্মেলন মঞ্চে তশরীফ গ্রহণ করেন। এ সময় সারা বিশ্বের আশেকে রাসূলদের পক্ষ হতে তাঁকে পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তারপর তিনি বাণী মোবারক প্রদান করে বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের সময় সম্মেলনে সমবেত আশেকে রাসূলেরা আল্লাহর রহমত কামনা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় পুরো এলাকায় পিন পতন নিস্তব্ধতা নেমে আসে। আশেপাশের সমস্ত বাড়ীর ভবনগুলোর নারী ও পুরুষেরা সবাই মুনাজাতে অংশ্রগ্রহণ করেন। সড়কের পথচারী, যানবাহনের যাত্রীরা, মোটর সাইকেলের আরোহীরা থেমে গিয়ে মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র আশুরার সম্মেলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আশেকে রাসূলেরা বাস, মাইক্রোবাস, কার, লঞ্চ, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে আসেন। সোমবার মধ্যরাত থেকে রিজার্ভ বাস, মাইক্রোবাসগুলো যাত্রী বোঝাই করে একে একে সম্মেলন চত্বরে আসতে থাকে। ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই মিরপুর দরবার শরীফ ও এর আশেপাশের এলাকা আশেকে রাসূলদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। দেশের চলমান দাবদাহের মাঝেও সেদিন মহান আল্লাহ তায়ালার অবারিত রহমতে সম্মেলন চত্বরে মৃদুমন্দ শীতল বাতাসে স্বর্গীয় প্রশান্তি নেমে আসে। সারাদিন পবিত্র আশুরার সম্মেলন উদযাপন করে আশেকে রাসূলেরা তাবারুক খেয়ে পরম পরিতৃপ্তির সাথে বাড়ী ফিরে যান। এ সময় সবার মাঝে নবীপ্রেমের এক নব উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। -আইএআরও
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)
মিরপুর দরবার শরীফে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপিত
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্বির্য্যের মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তর মিরপুর দরবার শরীফে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ১৪৯৭তম শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে এখানে আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) সম্মেলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে রিজার্ভ বাস, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে হাজার হাজার শান্তিপ্রিয় আশেকে রাসূল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা যোগদান করেন।
আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুরের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য শত শত স্বেচ্ছাসেবক নিরলসভাবে দিন-রাত অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন। তারা সংস্থার মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা ও যুগ্ম-মহাসচিব স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করে দায়িত্ব পালন করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে মিরপুর দরবার শরীফে ও তৎসংলগ্ন এলাকা বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। দরবার শরীফের সম্মুখে সড়কে নির্মিত নয়নাভিরাম সুবিশাল তোড়ন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আগত মেহমানদের সম্মেলনের অনুষ্ঠানমালা দেখা ও শোনার সুবিধার্থে বিশাল আকারের দুইটি এলইডি টিভি সবাইকে মুগ্ধ করে।
শনিবার হতেই আশেকে রাসূলেরা দলে দলে মিরপুর দরবার শরীফে জমায়েত হতে শুরু করে। রাতে বিভিন্ন জেলার রিজার্ভ বাস ও মাইক্রো বাসগুলো আশেকে রাসূলদের নিয়ে সম্মেলন চত্বরে পৌঁছায়। সকালে সম্মেলনের পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ভোরে দয়াল নবীজির শুভ জন্মদিনের শুকরিয়া আদায় করে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসূল পরিবেশন করা হয়। এ সময় সম্মেলন চত্বর ও এর আশেপাশের এলাকা এক অনবদ্য পবিত্রতা ও স্বর্গীয় প্রশান্তিতে ভরে যায়।
সকাল ৭টায় সম্মেলনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, হামদে বারী তায়ালা ও নাতে রাসূল পরিবেশনের পর স্বাগত ভাষণ দেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা। এরপর দয়াল নবীজির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বিশাল আকারের কেক কাটা হয়। এ সময় আশেকে রাসূলদের শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠে। এরপর প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও ওলামায়ে কেরাম একে একে বক্তব্য দেন। বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। এরপর বক্তব্য রাখেন- সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা এবং মহসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় যোহরের নামাজ।
নামাজের পর অনুষ্ঠানে সম্মেলনের আহ্বায়ক ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুরকে সারা পৃথিবীর শান্তিপ্রিয় আশেকে রাসূল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পক্ষ হতে ফুলের মালা মোবারক দেয়া হয়। এরপর তিনি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে দীর্ঘ বাণী মোবারক প্রদান করেন। এ সময় সমগ্র এলাকায় পিন-পতন নিস্তব্ধতা নেমে আসে। হাজার হাজার মানুষ গভীর মনোযোগের সাথে বাণী মোবারক শ্রবণ করে পরিতৃপ্ত হন। এরপর তিনি মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের সময় আগত মেহমানগণ, এলাকাবাসী, পথচারী এবং যানবাহনের যাত্রীরাও আল্লাহর রহমত কামনা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সম্মেলনে সবাইকে তাবারুক ও কেক খাওয়ানো হয়। সম্মেলনে নবাগত হাজারো মানুষকে তরীকতের সবক দেয়া হয়। তারপর শান্তিপ্রিয় আশেকে রাসূল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এক অনাবিল স্বর্গীয় প্রশান্তি নিয়ে গভীর মহব্বতে স্মাত হয়ে মিরপুর দরবার শরীফের শায়েখুল আকবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওয়ানা হয়। -আই.এ.আর.ও.
পবিত্র ঈদে আযহা
পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত
বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ তায়ালার বিশেষ রহমত কামনার মধ্য দিয়ে ১০ই জুলাই, রবিবার রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তর মিরপুর দরবার শরীফে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়। কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত ঈদের নামাজের খোতবায় প্রখ্যাত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা শায়েখ ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর সবাইকে কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের পশুকে কোরবান করে চরিত্রবান হওয়ার আহবান জানান।
সেদিন সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত ঈদুল আযহার নামাজের জামাতে উপস্থিত ছিলেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ.এফ.এম বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ), যুগ্ম মহাসচিব স্কলার সৈয়দ এ.এফ.এম রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)-সহ আলেম-ওলামা, গণ্য-মান্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। ঈদের নামাজের পর আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট শায়েখ ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর বিপুল সংখ্যক আশেকে রাসূলের মুহুর্মুহু শ্লোগানের মাঝে সবার চোখ জুড়ানো বিশাল আকারের গরু কোরবানী করেন।
পরিশেষে আশেকে রাসূলদের মাঝে বিরিয়ানী তাবারুক এবং কোরবানীর গরুর মাংস বিতরন করেন। ওদিকে মহিলাঙ্গনে সারাদিন মহিলা আশেকা রাসূলেরা কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা (মাঃ আঃ) হুজুরের সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁর বিশেষ দোয়া কামনা করেন।
এখানে পবিত্র ঈদুল আযহার দিনের কিছু চিত্র দেয়া হলো-
পবিত্র ঈদুল ফিতর
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত
আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকিন শায়েখুল ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম ও কৃচ্ছতা সাধনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মাহে রমজান দিয়েছেন। আমরা যদি এই শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে সারা বছরই আল্লাহ তায়ালার অপরিসীম রহমত ও বরকত লাভ করতে পারবো।
তিনি আজ ৩রা মে, মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অংশগ্রহণের জন্য রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে সমবেত আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক দিচ্ছিলেন।
ভোর ৬টা হতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার আশেকে রাসূলেরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সদর দপ্তরে সমবেত হতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ৬টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর হামদ ও নাতে রাসূল পরিবেশনের পরে ওলামায়ে কেরাম পবিত্র ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
সকাল পোনে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল। সকাল ৭টায় আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার মহাসচিব অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ এফ.এম. বরকত-এ-খোদা।এরপর সাড়ে ৭টায় প্রখ্যাত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা ইমামুল আশেকিধ শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর মহামূল্যবান বাণী মোবারক প্রদান করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর রোজাদারদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা দিয়েছন পবিত্র ঈদুল ফিতর। যারা রোজা পালন করেছেন, তাদের জন্য আজ মহা খুশির দিন। মহানবী হযরত রাসূল (সঃ) এই ঈদে মানুষে মানুষে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আমাদের সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় উজ্জীবিত হয়ে শান্তিময় সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত। শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুরের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে বিপুল সংখ্যক আশেকে রাসূল উপস্থিত ছিলেন। নামাজের সময় আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তর ভবন ও এর পার্শ্ববর্তী সড়ক মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তিনি ঈদের নামাজের পর রমজানে রোজাসহ আশেকে রাসূলদের সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী কবুল করে সবাইকে তার খাছ রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় দেওয়ার ফরিয়াদ জানিয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতের পরে সবার মাঝে তাবারক হিসেবে বিরিয়ানি ও সেমাইয়ের বিতরণ করা হয়।
ঈদের জামাতে বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কলার সৈয়দ এ.এফ.এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর সহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ গণ্যমান্য ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মহিলাঙ্গনে কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা (মাঃ আঃ) হুজুর ও তার পুত্রবধূ সৈয়দা শামসুন্নাহার জ্যোতি হুজুর সমাবেত শত শত মহিলা আশেকা রাসূলের সাথে সাক্ষাৎ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাদেরকে তাবারক হিসেবে বিরিয়ানি ও সেমাইয়ের দেওয়া হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে বিপুল সংখ্যক আশেকে রাসূল সমবেত হয় -আইএআরও
ইফতার পার্টি
পবিত্র লাইলাতুল বরাত
পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত
রাতভর ইবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গত ১৮ই মার্চ, শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে আশেকে রাসূল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আশেকে রাসূল মাহফিল শুরু হয়। এরপর হামদে বারী তায়ালা ও নাতে রাসূল পরিবেশনের পর পবিত্র লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- হাফেজ মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসেন হেলালী, মুফতি মাওলানা মোঃ বিল্লাল হোসেন রাব্বানী, মাওলানা মোঃ আবুল বাশার আশরাফী, মাওলানা মোঃ আব্দুল মালেক মুজাহেদী, মাওলানা মোঃ আবু মুসা জালালী, মাওলানা এ.পি.জি. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত মিলাদ শরীফের পর বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) ও মহাসচিব ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)।
রাত ১১টায় এশার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট- ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর পবিত্র লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে মহামূল্যবান বাণী মোবারক প্রদান করেন। এরপর তিনি পবিত্র লাইলাতুল বরাতের উছিলায় আল্লাহ তায়ালার খাছ রহমত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
রাত ১টা হতে আশেকে রাসূল মাহফিলে সমবেত আশেকে রাসূলেরা নফল নামাজ, তাসবীহ-তাহলিল, মোরাকাবা-মোশাহেদা, জ্বিকির-আজকার, দরূদ শরীফ পাঠসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন।
রাত পৌঁনে ৪টায় রহমতের ফায়েজের মোরাকাবা পরিচালনা করেন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. রবকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)। এ সময় আশেকে রাসূলেরা অঝোর নয়নে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর রহমত কামনা করেন। রাত সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ শরীফ।
পৌঁনে ৫টায় আজানের পর ফজরের নামায অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আশেকে রাসূলদের নয়নমণি ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর সারারাতব্যাপী অনুষ্ঠিত আশেকে রাসূল মাহফিলে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের সময় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য আশেকে রাসূলদের অন্তর্ভেদী কান্নায় সামগ্রিক পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে। মুনাজাতে তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মাহফিলে সবাইকে বিরিয়ানীর তাবারক খাওয়ানো হয়। -আইএআরও
পবিত্র লাইলাতুল বরাত
পবিত্র লাইলাতুল বরাত পালিত
রাতভর ইবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গত ১৮ই মার্চ, শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে আশেকে রাসূল মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আশেকে রাসূল মাহফিল শুরু হয়। এরপর হামদে বারী তায়ালা ও নাতে রাসূল পরিবেশনের পর পবিত্র লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- হাফেজ মাওলানা মোঃ মোশাররফ হোসেন হেলালী, মুফতি মাওলানা মোঃ বিল্লাল হোসেন রাব্বানী, মাওলানা মোঃ আবুল বাশার আশরাফী, মাওলানা মোঃ আব্দুল মালেক মুজাহেদী, মাওলানা মোঃ আবু মুসা জালালী, মাওলানা এ.পি.জি. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত মিলাদ শরীফের পর বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) ও মহাসচিব ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)।
রাত ১১টায় এশার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট- ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর পবিত্র লাইলাতুল বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে মহামূল্যবান বাণী মোবারক প্রদান করেন। এরপর তিনি পবিত্র লাইলাতুল বরাতের উছিলায় আল্লাহ তায়ালার খাছ রহমত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
রাত ১টা হতে আশেকে রাসূল মাহফিলে সমবেত আশেকে রাসূলেরা নফল নামাজ, তাসবীহ-তাহলিল, মোরাকাবা-মোশাহেদা, জ্বিকির-আজকার, দরূদ শরীফ পাঠসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন।
রাত পৌঁনে ৪টায় রহমতের ফায়েজের মোরাকাবা পরিচালনা করেন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. রবকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)। এ সময় আশেকে রাসূলেরা অঝোর নয়নে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর রহমত কামনা করেন। রাত সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ শরীফ।
পৌঁনে ৫টায় আজানের পর ফজরের নামায অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আশেকে রাসূলদের নয়নমণি ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর সারারাতব্যাপী অনুষ্ঠিত আশেকে রাসূল মাহফিলে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের সময় আল্লাহর রহমত লাভের জন্য আশেকে রাসূলদের অন্তর্ভেদী কান্নায় সামগ্রিক পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে। মুনাজাতে তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মাহফিলে সবাইকে বিরিয়ানীর তাবারক খাওয়ানো হয়। -আইএআরও
প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার
১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
গত ৬ই জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার ছিল আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পরদিন ৭ই জানুয়ারী, শুক্রবার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন সংস্থাটির সদর দপ্তরে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে আশেকে রাসূল প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও এলাকার আশেকে রাসূলদের পক্ষ হতে প্রতিনিধিগণ এবং বিদেশী প্রতিনিধিগণ এ সম্মেলনে যোগদান করেন।
সকাল ৯টায় শীতের কুয়াশায় ঘেরা রক্তিম সূর্যের সোনালী আলোর উদ্ভাসিত স্নিগ্ধ ও সুরভিত পরিবেশে আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আশেকে রাসূল প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় আশেকে রাসূলদের শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠে। এরপর তিনি বিশাল আকারের কেক কেটে সম্মেলনের উদ্বোধনী বাণী মোবারক প্রদানকালে বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর চির শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলনের মাধ্যমে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্মেলনে আলোচনা পর্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত-এ-রাসূল পরিবেশনের পর বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও এলাকার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য পেশ করেন। দুপুর ১২টায় ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর উপস্থিত সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অতঃপর অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল।
এরপর আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন- সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর ও মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর। সর্বশেষ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর এ সংস্থার ২০২২ সালের কর্ম-পরিকল্পনা ঘোষণা করে আশেকে রাসূলদের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
জুমার নামাজের পর তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের পর সবাইকে তাবারক খাওয়ানো হয়।
এখানে উক্ত সম্মেলনের ছবি দেয়া হলোঃ
দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার
১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
গত ৬ই জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার ছিল আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পরদিন ৭ই জানুয়ারী, শুক্রবার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন সংস্থাটির সদর দপ্তরে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে আশেকে রাসূল প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও এলাকার আশেকে রাসূলদের পক্ষ হতে প্রতিনিধিগণ এবং বিদেশী প্রতিনিধিগণ এ সম্মেলনে যোগদান করেন।
সকাল ৯টায় শীতের কুয়াশায় ঘেরা রক্তিম সূর্যের সোনালী আলোর উদ্ভাসিত স্নিগ্ধ ও সুরভিত পরিবেশে আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আশেকে রাসূল প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় আশেকে রাসূলদের শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠে। এরপর তিনি বিশাল আকারের কেক কেটে সম্মেলনের উদ্বোধনী বাণী মোবারক প্রদানকালে বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর চির শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলনের মাধ্যমে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্মেলনে আলোচনা পর্বে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত-এ-রাসূল পরিবেশনের পর বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও এলাকার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য পেশ করেন। দুপুর ১২টায় ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর উপস্থিত সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অতঃপর অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল।
এরপর আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন- সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর ও মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর। সর্বশেষ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে ইমামুল আশেকীন, শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর এ সংস্থার ২০২২ সালের কর্ম-পরিকল্পনা ঘোষণা করে আশেকে রাসূলদের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
জুমার নামাজের পর তিনি বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতের পর সবাইকে তাবারক খাওয়ানো হয়।
এখানে উক্ত সম্মেলনের ছবি দেয়া হলোঃ
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর
আজ পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর : প্রথম আল-কুরআন নাজিলের রাত
ইসলামের ইতিহাসে ২৬শে রমজান দিবাগত রাত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। এরাতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ হাবিব হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে রাসূল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর কাছে সর্বপ্রথম আল কুরআনের বাণী নাযিল করে তাঁকে সম্মানিত ও মর্যাদাশালী করেছিলেন। তাই এ রাতকে আরবিতে বলা হয় লাইলাতুল কদর; আর ফার্সীতে বলে শবে কদর। এর অর্থ হলো- সম্মানিত রজনী।
বাংলাদেশে পারস্যের সূফী দরবেশগণ প্রথম ইসলাম প্রচার করায় এদেশে ধর্মীয় বিষয়ে ফার্সী শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমন, নামাজ, রোজা, পীর, দরবেশ প্রভৃতি ফার্সী শব্দ। অনুরূপভাবে ২৬শে রমজান দিবাগত রাত এদেশে শবে কদর হিসেবে সমধিক পরিচিত।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআন নাযিলের বিষয়ে বলেন, “রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কুরআন নাজিল করেছি।” (সূরা-বাকারা, আয়াত-১৮৫) রমজান মাসের কবে আল কোরআন নাজিল হয়েছে, সে প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন) নাযিল করেছি কদরের রাতে। আর (হে হাবীব) কদরের রাত সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। যে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সেই রজনী ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত।” (সূরা-কদর, আয়াত- ১-৫) হাদীস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী শবে কদর হলো ২৬শে রমজান দিবাগত রাত। তাই মুসলিম উম্মাহ শবে কদর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সারারাত ব্যাপী ইবাদত বন্দেগী করে পালন করে।
লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ফজিলত হাজার মাস তথা ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। এ প্রসঙ্গে একটি হাদীসের বর্ণনায় রয়েছে, একবার হযরত রাসূল (সঃ) বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তির ইবাদতের ব্যাপকতা সম্বন্ধে বলেছিলেন যে, ঐ ব্যক্তি যুবক বয়স থেকে একাধারে ৮০ বছর বিরামহীনভাবে আল্লাহ পাকের ইবাদতে কাটিয়েছিলেন। একথা শ্রবণ করে সাহাবায়ে কেরাম আরজ করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের আয়ু কম, তাই আমরা যে এতো ইবাদত করতে পারবো না? তিনি জবাব দিলেন, মহান আল্লাহ তা’য়ালা পরম দয়ালু। তিনি দয়া করেছেন, তোমাদের জন্য তিনি কদরের রাতকে নির্দিষ্ট করেছেন। যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আর এ রাতটি রমজান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত।
হাদীস শরীফের বর্ণনা থেকে জানা যায়, পবিত্র কুরআন নাযিল হওয়ার ছয় মাস আগে থেকেই মহান আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে স্বপ্নের মাধ্যমে এই মহৎ কাজের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছিলেন। তাঁর উপর ওহী নাযিল হওয়ার সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মাধ্যমে। তিনি স্বপ্নে যা দেখতেন, তা দিনের আলোর মত তাঁর জীবনে প্রতিভাত হতো। তিনি আস্তে আস্তে নির্জনতা প্রিয় হয়ে উঠেন। হেরাগুহায় নিভৃতে আল্লাহ তা’য়ালার ধ্যানে মশগুল হয়ে পড়েন এবং বিশাল সৃষ্টি ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীর চিন্তা ভাবনা করতে থাকেন। খাবার পানি শেষ হয়ে গেলে সেসব নেয়ার জন্যই তিনি শুধু বাড়ী যেতেন। মাঝে মাঝে তাঁর সহধর্মিনী হযরত বিবি খাদিজা (রাঃ) তাঁকে হেরা গুহায় খাবার দিয়ে আসতেন।
৬১০ খ্রিস্টাব্দে হিজরী পূর্ব ১৩ সনের রমজান মাসের শবে কদরে হযরত রাসূল (সঃ) হেরা গুহায় গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। হঠাৎ এক নূরময় সত্তা তাঁর সামনে এসে বলেন, “হে মোহাম্মদ! আপনি পড়ুন।” ঘটনার আকস্মিকতায় হযরত রাসূল (সঃ) হতবাক হয়ে গেলেন। উদ্বেলিত কন্ঠে বললেন, “আমি পড়তে অভ্যস্ত নই।” তখন সেই নূরময় সত্তা হযরত রাসূল (সঃ)-কে পর পর তিনবার আলিঙ্গন করে ছেড়ে দিয়ে বলেন, পড়ুন। এরপর হযরত রাসূল (সঃ) পবিত্র কোরআনের প্রথম পাঁচটি আয়াত পাঠ করেন। যথা- “পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক অর্থ্যাৎ জমাট রক্তপিন্ড হতে। পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালক মহা মহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা সে জানতো না।” (সূরা-আলাক, আয়াত-১-৫) তারপর সেই নূরময় সত্তা সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
এভাবেই হযরত রাসূল (সঃ)-এর কাছে মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আল কোরআন প্রথম ৫টি আয়াত নাজিল হয়েছিল। তারপর পর্যায়ক্রমে ২৩ বছরে ৬২৩৬ টি আয়াত নাজিল হয়ে তা পূর্ণতা লাভ করে।
হযরত রাসূল (সঃ)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাযিলের স্মৃতিবিজড়িত শবে কদর মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও পূণ্যময় রজনী। এ রাতে নফল নামাজ, মিলাদ, মোরাকাবা, দরূদ পাঠ ও কোরআন তেলাওয়াতসহ নানাবিধ ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালা ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। মহান আল্লাহ তা’য়ালা দয়া করে আমাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদায় লাইলাতুল কদর পালনের তৌফিক দান করুন। আমীন
পবিত্র মাহে রমজানের তারাবি ও ইফতার মাহফিল
বিশেষ মিলাদ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
গত ৩রা বৈশাখ, শনিবার ছিল ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুরের শ্রদ্ধেয় পিতা বিশিষ্ট সূফী সাধক হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ)-এর ৩৭তম ওফাত দিবস। তাঁর পিতা ছিলেন- পীরানে পীর, দস্তগীর, সুলতানুল মাশায়েখ, সুলতানিয়া মোজাদ্দেদীয়া তরীকার ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর মহব্বতের জন ও একজন আশেক মুরীদ সন্তান।
হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ) ১৯৬৯ সালে ইমাম শাহ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর কাছে তরীকতের সবক গ্রহণ করেন। তিনি উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তরীকতের সাধনা করা তাঁর জীবনের ব্রত ছিল। ফলে তিনি সব সময় তরীকতের সাধনায় গভীরভাবে আত্মনিয়োগ করে থাকতে পছন্দ করতেন। তাঁর জীবনে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তিনি তাঁর সহধর্মীনী, ছেলে-মেয়ে, পরিবার-পরিজনকে তরীকতের সাধনায় উদ্ধুদ্ধ করতেন।
বিশিষ্ট সূফী সাধক হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ) ছিলেন তাঁর পিতা-মাতার ছয় পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের মাঝে জ্যেষ্ঠ। ফলে তাঁর প্রচেষ্টায় তাঁর পিতা-মাতা, ছোট ভাই-বোন ও তাঁদের পরিবার-পরিজন তরীকতের শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়।
১৯৮৬ সালের ১৭ এপ্রিল হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ) ওফাত লাভের চল্লিশ দিন আগে তাঁর ছয় পুত্র ও চার কন্যার মাঝে জ্যেষ্ঠ সন্তান ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুরকে মহান আল্লাহ তায়ালা ও দয়াল রাসূল (সঃ)-এর ধর্মের খেদমত করার জন্য উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন।
সূফী সাধক হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ)-এর ওফাতের সময় তাঁর সর্বশরীরে আল্লাহ্ আল্লাহ্ জ্বিকির জারি ছিল। তখন সূফী সাধকগণ বলেছিলেন, ‘‘তাঁর মত আধ্যাত্মিক উচ্চ মর্যাদা বাংলাদেশের কোন পীরেরও নেই।’’ তাঁর ওফাতের সাড়ে চার মাস পর প্রবল বৃষ্টিপাতে তাঁর রওজা শরীফের পূর্ব পার্শ্বের মাটি ধসে পড়লে তাঁর দেহ-মোবারক অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনা এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। তখন পুলিশ-প্রশাসনসহ হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রওজা শরীফে মাটি ফেলে উঁচু করে পুনরায় তাঁকে সম্মানের সাথে সমাহিত করা হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে সেদিন আল্লাহ তায়ালা প্রমাণ করেছিলেন যে, তিনি সত্যিকারের অলী-আল্লাহ।
বিশিষ্ট সূফী সাধক হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ)-এর ওফাত দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন তাঁরই বাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তরে সেদিন বিশেষ মিলাদ ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তাঁর গুণমুগ্ধ পাড়া-প্রতিবেশী ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক আশেকে রাসূল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মাহফিলে যোগদান করেন। ফলে সংস্থার সাত তলা ভবন লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর সমাগত অতিথিদের সাদর সম্ভাষণ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বাণী মোবারক প্রদানকালে তাঁর পিতার আধ্যাত্মিক সাধনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। অতঃপর সম্মানীত অতিথিগণ ইফতার সম্পন্ন করেন এবং মাগরিবের নামায আদায় করে পরিতৃপ্তির সাথে বিদায় নেন। মাহফিলে অতিথিদের অভ্যর্থনার দায়িত্বে ছিলেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার মহাসচিব বৃটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) ও যুগ্ম মহাসচিব বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)। অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন- হযরত সৈয়দ আবদুর রহমান সরকার (রহঃ)-এর মেজো পুত্র জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান ও তার সহকর্মীগণ। আপ্যায়নের সহযোগিতায় ছিলেন- আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সম্মানীত স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।