আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট ইমামুল আশেকীন শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর ১১ই জুন ১৯৬২ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হযরত রাসূল (সঃ)-এর বংশধর। তাঁর পূর্বপুরুষগণ ইসলাম প্রচারের জন্য সদূর মদীনা শরীফ হতে বাংলাদেশে আসেন। তিনি তাঁর পিতা বিশিষ্ট সূফী সাধক হযরত সৈয়দ আব্দুর রহমান সরকার (রহঃ) ও আমেরিকা প্রবাসী মহিয়সী মাতা মোসাম্মাৎ আনোয়ারা বেগম (মাঃ আঃ)-এর ছয় পুত্র ও চার কন্যার মাঝে জ্যেষ্ঠ।শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর ইসলামী ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে শৈশবেই ইসলামী শিক্ষা লাভ করেন এবং কৈশরেই ইসলামী শিক্ষা তথা- পবিত্র কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন, নামাজ, রোজাসহ ইসলামী ফিকহের মাছালা-মাছায়েল শিক্ষা লাভ করেন। তিনি সাত বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে পীরানে পীর, দস্তগীর, সুলতানুল মাশায়েখ, সুলতানিয়া-মোজাদ্দেদীয়া তরীকার ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর সোহবত লাভ করে তাঁর ভক্তজনে পরিণত হন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন তাঁর স্বপ্নের মহাপুরুষ। তিনি তাঁকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন ও অনুসরণ করার চেষ্টা করতেন। তিনি মাত্র নয় বছর বয়সে স্বপ্নযোগে হযরত রাসূল (সঃ)-এর দীদার লাভ করেন। দয়াল নবীজিকে স্বপ্নে দেখার পর ধর্মের প্রতি তাঁর আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগী, তরীকতের সাধনা, ও জ্বিকির-আজকার করতে বেশী পছন্দ করতেন। ইমাম শাহ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর তরীকার সবক নেয়ার পরেই তাঁর ক্বালবে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ জ্বিকির জারি হয়। তিনি তখন অবচেতন মনেও আল্লাহর জ্বিকিরে নিমগ্ন থাকতেন। তাঁর কাছে তরীকতের সাধনা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে হতো। তাঁর তরীকা শেখার প্রবল আগ্রহ ছিল। এ কারণে কিশোর বয়সেই তিনি ইমাম শাহ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর ‘নূরুল আসরার’, ‘হাক্কুল ইয়াকীন’, হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ)-এর ‘মাকতুবাত শরীফ’, মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী (রহঃ)-এর ‘মসনবী শরীফ’, ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)-এর ‘এহইয়া উলুমুদ্দীন’, গাউছুল আজম হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর ‘গুনিয়াতুত আলেবীন’ প্রভৃতি তরীকতের কিতাবগুলো অধ্যয়ন করেন।ইমামুল আশেকীন ডক্টর আল্-মাহ্বুবী (মাঃ আঃ) হুজুর রাজধানী ঢাকার খ্যাতনামা তেজগাঁও গভর্নমেন্ট হাই স্কুল হতে এস.এস.সি. এবং গভর্নমেন্ট সাইন্স কলেজ হতে এইচ.এস.সি. কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। অতঃপর তিনি ‘‘আই.সি.এম.এ.বি.’’-তে ভর্তি হয়ে ১৯৮৩ সালে ‘‘কষ্ট এণ্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস’’ কোর্স সম্পন্ন করেন। এরই সাথে তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি ‘‘আই.সি.এ.বি.’’-তে ভর্তি হয়ে ১৯৮৮ সালে ‘‘চার্টাড একাউন্টেন্টস’’ কোর্স সম্পন্ন করেন। এরই মধ্যে তিনি ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাব বিজ্ঞানে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামিক স্টাডিজে ১৯৯৮ সালে ¯স্নাতক ও ২০০০ সালে ¯স্নাতকোত্তর ডিগ্রী কৃতিত্বের সাথে লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ হতে ২০০৩ সালে মাস্টার্স অব ফিলোসফিতে ডিসটিংশন মার্কসহ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন এবং ২০০৯ সালে ‘‘ইসলামিক থিওলজী, সূফীজম এণ্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন’’-এর উপর গবেষণা করে তিনি পি-এইচ. ডি. ডিগ্রী লাভ করেন।শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি গভীরভাবে ইসলামী গবেষণা ও তরীকতের সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি একদিকে ইসলামিক থিওলজী, সূফীজম এণ্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন-এর উপর গবেষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি-এইচ.ডি. ডিগ্রী লাভ করেন। অন্যদিকে আধ্যাত্মিক সাধনা করে তরীকতের সাইত্রিশটি ক্লাস সম্পন্ন করার পর ১৯৯৯ সালের ২৭শে রমজান মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে মোকাম্মেল অলী-আল্লাহ্র মাকামে উন্নীত করেন। এরপর তিনি দেশে-বিদেশে তরীকা প্রচারে ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করেন। ২০১১ সালে ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর তাঁর সহধমির্নী কুতুবুল আকতাব ডক্টর সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা (মাঃ আঃ) হুজুর ও তাঁর দুই পুত্র- প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ এ. এফ. এম. বরকত-এ-খোদা (মাঃ আঃ) ও স্কলার সৈয়দ এ. এফ. এম. রহমত-এ-খোদা (মাঃ আঃ)-কে নিয়ে সৌদী আরবের মদীনা শরীফে জেয়ারতে যাওয়ার পর দয়াল নবীজি দয়া করে তাঁর ধর্ম প্রচারের জন্য তাঁদেরকে মনোনীত করেন। এরপর মহান আল্লাহ্ তায়ালা দয়া করে তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতের প্রমোশন দিয়ে ৯ই ফেব্রæয়ারী ২০১৭, বৃহস্পতিবারে ‘নূরে মোহাম্মদী’র অধিকারী করেন এবং পরবর্তীতে তিনি ১৭ই মে, ২০১৯, শুক্রবারে হযরত রাসূল (সঃ)-এর চিরশান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য তাঁদেরকে নির্বাচিত করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ্ তায়ালা দয়া করে ৬ই জানুয়ারী, ২০২১, বুধবারে তাঁদেরকে হেদায়েতের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন। আল্লাহ পাকের এই নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বময় ইসলাম প্রচারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিনিয়ত তাঁর কাছে এসে তরীকতের সবক নিয়ে সাধনা করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতঃ সুন্দর ও শান্তির চরিত্রের অধিকারী হয়ে আশেকে রাসূলে পরিণত হচ্ছেন।
শায়েখুল আকবার ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর বহু ইসলামী প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তিনি জাতীয় দৈনিকসহ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাসিক ‘সিরাজাম-মুনীরা’ ও সাপ্তাহিক ‘জান্নাত’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণায় সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ও ইসলামিক স্ট্যাডিজ এলামনাই এসোসিয়েশনের জীবন সদস্য। তাঁকে একজন বিশিষ্ট ইসলামী ধর্মতত্ত¡বিদ ও ইসলাম প্রচারক বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামানুসারে ‘ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল-মাহবুবী গোল্ড মেডেল’ প্রবর্তন করেন। প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের এম. এ. ফাইনাল পরীক্ষার প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাঞ্চেলর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এই মেডেল প্রদান করেন।
শায়েখুল আকবার ডক্টর আল-মাহবুবী (মাঃ আঃ) হুজুর পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেছেন। তিনি স্বপরিবারে হযরত রাসূল (সঃ)-এর রওজা শরীফ জেয়ারতসহ মক্কা ও মদীনা শরীফের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করেছেন। তিনি সৌদী আরবের মক্কায় অবস্থিত উম্মুল কুরআন ইউনিভার্সিটি ও মদীনায় অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদীনা এবং মিশরের বিখ্যাত আল আযহার ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করেন। এছাড়া ইসলাম প্রচারের জন্য তিনি বহু দেশ পরিভ্রমণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজধানী ঢাকার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন আন্তর্জাতিক আশেকে রাসূল সংস্থার সদর দপ্তর মিরপুর দরবার শরীফে অবস্থান করে মহানবী হযরত রাসূল (সঃ)-এর সুমহান আদর্শ ও শিক্ষা বিশ্বময় প্রচারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আশেকে রাসূল সৃষ্টির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এই লক্ষ্য সাফল্যের সাথে বাস্তবায়নের জন্য তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত, মহানবী হযরত রাসূল (সঃ)-এর বরকত ও সকালের দোয়া প্রার্থী
